চকরিয়ায় মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মাদক বিক্রেতা পক্ষের লোকজন হামলা চালিয়েছে একটি পরিবারের সদস্যদের উপর। এতে মারধরে গুরুতর আহত হয়েছেন চকরিয়া উপজেলা বৌদ্ধ সমিতির সাধারণ সম্পাদক পটল বড়–য়া (৩৮), তাঁর মা বেনু বড়–য়া (৬০), বোন কল্পনা বড়–য়া (৩৮) ও ভাগিনা সুচিন্তা ফাউন্ডেশন স্টুডেন্ট এন্ড ইয়ুথ উইনিস উপজেলা কমিটির আহবায়ক ডিপলু বড়–য়া (২০)। গত রোববার রাত ১০টার দিকে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিনামারা এলাকায় ঘটেছে এ হামলার ঘটনা। আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, জয়ন্তী বড়–য়া নামের এক মহিলা পৌরসভার বিনামারার বড়–য়া পাড়ায় চোলাই মদ বিক্রি করে আসছিলেন। গত রোববার রাতে বড়–য়া পাড়ায় মাদক বিক্রি করতে তাকে বাধা দেন বৌদ্ধ সমিতির সাধারণ সম্পাদক পটল বড়–য়া। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুর্বৃত্তরা পটল বড়–য়ার ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে আত্মীয়-স্বজনেরা এগিয়ে গেলে তাঁদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এতে চারজন আহত হন। আহতদের চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাদের মধ্যে পটল বড়–য়াকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
হামলার শিকার বৌদ্ধ সমিতির নেতা পটল বড়–য়া বলেন, গ্রামের ভেতর মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে কিছুদিন আগে বৌদ্ধ সমিতির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্বারকলিপি দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হন জয়ন্তী বড়–য়া। এরই জের ধরে রোববার রাতে তাঁর ওপর হামলা চালায়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, ‘বড়–য়া পাড়ায় হামলার ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
এদিকে চকরিয়া চকরিয়া উপজেলা বৌদ্ধ সমিতির সাধারণ সম্পাদক পটল বড়–য়াসহ তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি রবীন্দ্র বিজয় বড়–য়া ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জেমসেন বড়–য়া। #
পাঠকের মতামত: